Header Ads

‘বিয়ের পর জানতে পারি স্বামীর অন্যত্র সম্পর্ক আছে’


প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৬ বছর। আমার সমস্যা হচ্ছে আমি শুধু নেতিবাচক চিন্তা করি। হয়তো রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় পাশে একটা সিলিন্ডারের পিকআপ দেখলাম। আমার মনে হবে এখন এগুলো বিস্ফোরণ হলে কী হবে? আমি এরপর যেতে যেতে এগুলোই ভাবতে থাকবো। কীভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো?

উত্তর: ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বা অ্যাংজাইটি নিউরোসিসকে মোকাবিলা করার জন্য নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করুন।

১) মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন: বর্তমান মুহূর্তে ও বর্তমান স্থানে মনোনিবেশ করুন। চারপাশে এই মুহূর্তে যা কিছু ঘটছে সেসব পর্যবেক্ষণ করুন। আপনার শরীরে এই মুহূর্তে যে রোদ বা বাতাস লাগছে তা অনুভব করুন। আপনার পা মাটিতে স্পর্শ করার অনুভূতি উপলব্ধি করুন। আপনার শরীরে আপনার পোশাক পরিচ্ছদের স্পর্শ অনুভব করুন।

২) শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: মনে মনে ১ থেকে ৪ গুনতে গুনতে নাক দিয়ে লম্বা শ্বাস নিন। তারপর মনে মনে ১ থেকে ৪ গুনতে গুনতে শ্বাস ধরে রাখুন। সবশেষে মনে মনে ১ থেকে ৬ গুনতে গুনতে নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তেই আপনার পেট ভেতরের দিকে টানুন। এভাবে পরপর কয়েকবার করুন।

৩) প্রকৃতির সাহচর্য: প্রতিদিন কিছুক্ষণ প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝে থাকার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ১৫ মিনিট থেকে আধা ঘন্টা খালি পায়ে ঘাস বা মাটির উপর হাঁটুন বা দাঁড়িয়ে থাকুন।

৪) শারীরিক ব্যায়াম: নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করুন এতে করে আপনার মস্তিষ্কে অধিক রক্তসঞ্চালন হবে ফলে আপনার চিন্তা ও স্মৃতি শক্তি বাড়বে। তাছাড়া ব্যায়ামের সময় আপনার মস্তিষ্কে এন্ডরফিন নামক নিউরোট্রান্সমিটার তৈরি হবে যা আপনার শরীর ও মনে প্রশান্তি ও ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি করবে।

প্রশ্ন: আমার বয়স ৩৫ বছর। ১৩ বছর আগে বাবা মায়ের পছন্দে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের পর জানতে পারি স্বামীর অন্যত্র সম্পর্ক আছে। সে সেটা লুকিয়ে বিয়ে করেছিল তার পরিবারের চাপে। আমার সেই বিয়েটা ভেঙে যাওয়ার পর থেকে আমি আর কোনও ছেলেকে বিশ্বাস করতে পারি না। মানসিকভাবে আমি আর আগাতে পারি না সামনে। বিয়ে তো করতে ইচ্ছে তো হয়ই না, কোনও ছেলের সাথে কথাও বলতে ইচ্ছে করে না।

উত্তর: বিশ্বাস ভঙ্গের পর আবার বিশ্বাস স্থাপন করতে স্বভাবতই কিছুটা সময় লাগতে পারে। নিচের কিছু পরামর্শ আপনাকে সুসংহত করতে সাহায্য করবে।

১) নিজেকে স্বকীয়তাকে প্রাধান্য দিন: ভালোমন্দ সকল বৈশিষ্ট্যসহ নিজেকে পরিপূর্ণভাবে ভালোবাসুন ও আপন করে নিন। নিজেকে অন্যের বা সমাজের প্রত্যাশা অনুযায়ী পরিবর্তন করার চেষ্টা না করে নিজের স্বকীয়তাকে গুরুত্ব দিন। প্রতিটি মানুষ অনন্য। সুতরাং নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করার বা অন্যের মতো হওয়ার চেষ্টা করার কোনও প্রয়োজন নেই।

২) সামাজিক সাহচর্য: আপনার বন্ধু, আত্মীয় বা পরিবারের সাথে কথা বলুন। তাদের সাথে আপনার অনুভূতিগুলো শেয়ার করুন। বিভিন্ন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন এবং সেসব সম্পর্কগুলোর পরিচর্যা করুন নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে।

৩) নতুন দক্ষতা অর্জন করুন: নতুন কিছু শিখুন। তা হতে পারে কোনও নতুন ভাষা, বাদ্যযন্ত্র, রান্নার কোর্স, ফ্রিল্যান্সিং। কোনও ব্যায়াম, মার্শাল আর্ট বা মেডিটেশন কোর্সে ভর্তি হতে পারেন। পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করুন। এ সংক্রান্ত টেড টক বা ইউটিউব ভিডিও দেখুন। শিক্ষামূলক বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা সাবস্ক্রাইব করুন ও বিভিন্ন অনলাইন কোর্স বা প্রোগ্রামে এনরোল করুন।

৪) নিজের পরিচর্যা করুন: নিজের প্রতি যত্নশীল হোন। নিয়মিত ব্যায়াম বা যোগব্যায়াম করুন, মেডিটেশন করুন। হাঁটুন, প্রকৃতির সাথে সময় কাটান। সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করুন। পর্যাপ্ত ঘুমান। এর ফলে আপনার শরীর ও মনে নতুন কর্মোদ্দীপনা তৈরি হবে

আরো পড়ুন.....

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.